Posts

ঘুর্নিজড় মোখা

ঘুর্নিজড় মোখা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই  আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাজত করেছেন  সবাই আল্লাহ কে ডাকুন, ইবাদত করুন বেশি বেশি 

কিশমিশ খাওয়ার ৭ স্বাস্থ্য উপকারিতা

  ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে আমাদের কাছে অন্যতম পরিচিত হচ্ছে কিশমিশ। পোলাও, পায়েসসহ বিভিন্ন রান্নায় মূলত কিশমিশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন। বিভিন্ন খাবারে কিশমিশ দিলে স্বাদ যেন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে যদি স্বাদ না পান, তবে স্বাদ বৃদ্ধি করতে সেগুলো কিশমিশের সঙ্গে চিবিয়ে খেতে পারেন। কিশমিশ অনেক পরিচিত হলেও কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেকেই জানেন না। গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে এটি। জানুন কিশমিশ খাওয়ার সাত স্বাস্থ্য উপকারিতা— ১. হজমে সহায়তা করে প্রতিদিন কয়েকটি কিশমিশ খেলে পেট ভালো থাকে। এতে ফাইবার থাকে, যা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে। আর এগুলো পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতিদিন কিশমিশ খেলে তা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়মিত রাখে এবং তাতে থাকা ফাইবারগুলো বিষাক্ত পদার্থ ও বর্জ্য পদার্থকে সিস্টেমের বাইরে রাখতেও সাহায্য করে। ২. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায় কিশমিশে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম অনেক ভালো মাত্রা...

মানবদেহে আয়োডিনের কাজ কী?

  মানবদেহে আয়োডিন খুবই অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হলেও এর গুরুত্ব কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের আয়োডিন প্রয়োজন দৈনিক ১৫০ মাইক্রোগ্রাম। মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ও থায়রয়েড হরমোন তৈরির জন্য আয়োডিন প্রয়োজন। এই হরমোন রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অংশের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। গলার সামনের দিকে প্রজাপতির মতো এ গ্ল্যান্ডের অবস্থান। শরীরের তাপ ও শক্তির জন্যও আয়োডিন প্রয়োজন। এর অভাব শরীরে প্রকটরূপে দেখা যায়। গর্ভবতী মহিলাদের আয়োডিনের অভাব হলে কয়েকটি সমস্যা দেখা যায়। যেমন-গর্ভপাত, মৃত শিশুর জন্ম, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম। অর্থাৎ অনেক সময় শিশু বোবা কানা ও ট্যারা হয়। খাদ্যে আয়োডিনের ঘাটতি হলে কয়েকটি অসুস্থতা দেখা যায়। যেমন গলগন্ড বা গলাফোলা রোগ, হাইপোথায়রয়েডিজম (থায়রয়েডগ্রন্থির কর্মক্ষমতা হ্রাস), ক্রেটিনিজম (হাবাগোবা ও বামনত্ব), প্রজনন সমস্যা ও শিশু মৃত্যু। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের চিফ নিউট্রিশন অফিসার ও বিভাগীয় প্রধান (অব.) আখতারুন নাহার আলো।  গলগন্ড বা গলাফোলা রোগ : আয়োডিনের অভাবে এই রোগ দেখা যায়। এই রোগে তেমন কষ্ট না হলেও রো...

মানসিক চাপ কমাবেন যেভাবে

  মন ভালো থাকলে শরীরও ভালো থাকে।  দীর্ঘমেয়াদে অবসাদ, ক্লান্তি ও একঘেয়ে জীবন চাপ সৃষ্টি করে মনের ওপর।  আবার পারিপার্শিক অবস্থার কারণেও অনেক সময় মানসিক চাপ তৈরি হয়।  এই চাপ দীর্ঘসময় বয়ে বেড়ালে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে।  মানসিক চাপ থেকেই রক্তচাপে হেরফের দেখা দেয়।  অনেক ক্ষেত্রে হৃদরোগের কারণও মানসিক চাপ।   মানসিক চাপ কাটানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হোসেন। * প্রথমত জানতে হবে মানসিক চাপের কারণে যেসব লক্ষণ দেখা দেয় তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য, আমাদের নিরাপত্তার জন্য তৈরি হয় এবং এটি প্রাকৃতিক ও শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।  এতে ঘাবড়ে গেলেই বিপদ।  তাই মানসিক চাপ তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করার মনোবল রাখতে হবে।  কেউ দীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়, সেগুলো শনাক্ত করতে হবে এবং সেগুলোর ক্ষতিকারক প্রভাব কমানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।   দ্বিতীয়ত যেসব সমস্যার কারণে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে যেসব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে।  সেক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না করে...

সর্দি-কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

  গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীত যে কোনো মৌসুমেই সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, বুকে কফ জমে যাওয়া, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। যাদের ঠাণ্ডা অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে এ সময় তারা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন। কেউ কেউ ছোট সমস্যা ভেবে একে উপেক্ষা করেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। কেউ কেউ আবার সমস্যা এড়াতে ওষুধও সেবন করে থাকেন। তবে ঘরোয়া উপায়েও এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জেনে নিন সর্দি-কাশি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়- দুধ ও হলুদ : দুধ যে কোনো বয়সের জন্যই সমান উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। হলুদে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা সহজেই সংক্রমণ রোধ করে। ফলে সর্দি-কাশির কষ্ট থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়। আদা চা : সর্দি-কাশি দূর করতে আদা চায়ের জুড়ি মেলা ভার। আদা কুচি করে গরম পানি বা গরম চায়ে দিয়ে পান করুন। এতে সর্দি-কাশির সমস্যা একেবারেই দূর হবে। লেবু ও মধু : লেবু ও মধুর মিশ্রণটিও আদা চায়ের মতোই অত্যন্ত উপকারী। এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সর্দি-কাশি দূর হবে। তুল...

পর্যাপ্ত না ঘুমালে যা হয়

  ভালো থাকার জন্য ভালো ঘুম হওয়া একান্ত প্রয়োজন। তবে অনেকেই আছেন, যাদের মোটেও ভালো ঘুম হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিদ্রা ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৬০ জনই সপ্তাহে দুই রাত বা তার বেশি সময় ঘুমজনিত সমস্যায় ভোগেন। শতকরা ৪০ জনের বেশি লোক মাসে অন্তত দুই দিন অতি দিবানিদ্রালুতায় আক্রান্ত হয়ে দৈনন্দিন কাজে বাধাগ্রস্ত হন। সপ্তাহে দুই দিন এ ধরনের সমস্যায় পড়েন, এমন আছেন শতকরা ২০ জন। যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৪ লাখ লোক নিয়মিত ঘুমের সমস্যায় ভোগে। বড়দের ৫ ভাগ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত। শিশুদের ভেতর এ হার ২-৩ ভাগ। তবে যেসব শিশু নাক ডাকে, তাদের ভেতর স্লিপ অ্যাপনিয়ার রোগী আছে ১০-২০ ভাগ . তা ই , অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, অ্যালকোহল, ধূমপান, অতিরিক্ত চা–কফি পান ও ঘুমের ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলা এবং এক পাশে কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করা। এ ছাড়া নাক বন্ধ থাকার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে সিপিএপি বা কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার বা একনাগা...

লবঙ্গের উপকারিতা কি ?

সর্দি–কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা কমায়: সর্দিকাশির মহৌষধ হিসেবে লবঙ্গ বহু বছর ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। লবঙ্গ চিবিয়ে রস গিলে খেলে বা লবঙ্গ মুখে রেখে চুষলে সর্দি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমা, গলাফুলে ওঠা, রক্ত পিত্ত আর শ্বাস কষ্টে সুফল পাওয়া যায়। লবঙ্গের আর একটি উপাদান হল নাইজেরিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানের জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির কার্যক্ষমতা বাড়ানো ও ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভাল ভাবে হয়। তাই মধ্য মাত্রার ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ ভাল কাজে দেয়।